টুইটারের মালিক হতেই একের পর এক কর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করলেন মাস্ক
নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্প্রতি টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন ইলন মাস্ক। সেই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে ছাঁটাই করে দিলেন বিশ্বের এই এক নম্বর ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারী। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে টুইটারের দায়িত্ব নেন তিনি। টুইটার কিনে বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছিলেন তিনি। এমনই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অবশেষে টুইটার তার দখলেই এলো।
শুধু সিইও পরাগকেই নয়, টুইটারের চিফ ফাইন্যানশিয়াল অফিসার নেড সেয়গাল, সিএফও এবং আইন বিভাগের প্রধান বিজয়া গাড্ডেকেও চাকরি থেকে বের করে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। এর আগে পরাগ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ করেছিলেন ইলন মাস্ক।
মাস্ক ট্যুইটার কিনলে পরাগের চাকরি যাওয়াটা ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। এদিন সংবাদ সংস্থাগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী সেই ঘটনাই ঘটেছে। ট্যুইটার কেনার আগেই পরাগ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে মাইক্রো ব্লগিং সাইটে সরব হয়েছিলেন এলন মাস্ক।
এমনকী কোম্পানির বোর্ডের সঙ্গে একমত হলেও পরাগকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে একরোখা ছিলেন তিনি। প্রকাশ্যে আগরওয়ালকে ছাঁটাইয়ের কথা না বললেও এলন ইঙ্গিত ছিল সেই দিকেই। মাস্কের অভিযোগ, সংস্থার ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে তাঁকে ও ট্যুইটারের বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছিলেন মাস্ক ও কোম্পানির বেশ কয়েকজন বড় কর্তা। এদিন ক্ষমতা হাতে নিয়েই তাই এদের ওপর পড়ল রোশের খাঁড়া।
এদিকে এর আগে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে ইলন মাস্ক টুইটারের মালিক হতেই সংস্থার ৭৫ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করবেন। তবে সংস্থার সান ফ্রান্সিসকোর সদর দফতরে গিয়ে নিজে কর্মীদের চাকিরর বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন মাস্ক। তাঁর টুইটার অধিগ্রহণের ফলে ছাঁটাইয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এদিকে গত বুধবারই নিজের ‘বায়ো’ বদল করে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘চিফ টুইট’। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে তিনি নিজেই সংস্থার প্রধান হতে চলেছেন