এবার শিরোনামে শিক্ষিকা! সহকর্মীর সাধে নেমন্তন্ন না পেয়ে স্কুলেই শুরু ঝামেলা, ভয়ে জ্ঞান হারালেন প্রধান শিক্ষিকা
ভুবন মোহনকর: ২৪/০৪/২০২২: সাধের জন্য সাধাসাধি না করায় গোল বাঁধল স্কুলে। অজ্ঞান হলেন বড়দিদিমণি। ব্যাপার কী? অন্তঃসত্ত্বা সহকর্মীর জন্য স্কুলেই সাধের আয়োজন করেছিলেন কয়েকজন শিক্ষিকা৷ তবে বেশ কয়েকজন শিক্ষিকাকে বাদ দিয়েই সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকাকে বাদ দিয়েই চলে খাওয়া-দাওয়া। সেই নিয়েই যত ঝামেলা। নেমতন্ন না পেয়ে শিক্ষিকাদের মধ্যে বাঁধল তুমুল ঝগড়া, অশান্তি৷ যা দেখে অজ্ঞান হয়ে গেলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ৷
গত বুধবার ঘটনাটি ঘটে শ্রীরামপুরের মাহেশে পরমেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ে ৷ গত বুধবার উচ্চমাধ্যমিক চলার মধ্যেই স্কুলের টিচার্স রুমে ওই শিক্ষিকাকে থালা সাজিয়ে আইবুড়ো ভাত দেন দিদিমণিদের কয়েকজন। নেমন্তন্নের সেই তালিকা থেকে বাকি দিদিমণিরা। তাঁরাই পরের দিন প্রধান শিক্ষিকা মিঠু মৈত্রের ঘরে নালিশ জানাতে যান। একই স্কুলে কেন তাঁদের বাদ দিয়ে সাধ খাওয়ানো হল, জবাব চান তাঁরা। পাল্টা বড়দিদিমণির ঘরে যান সাধের আয়োজন করা সহ শিক্ষিকারাও।
এক কথা, দু’কথায় বড়দিদিমণির ঘর তখন যেন কলতলা। পরিস্থিতি এমন হয় যে দু’দল দিদিমণির তুমুল ঝগড়ায় জ্ঞান হারান প্রধান শিক্ষিকা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিঠু মৈত্র বলেন, “এর আগেও একজন শিক্ষিকাকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। তাই আমাকে সাধের কথা বললেও আমি তাতে অংশগ্রহণ করিনি। কুড়ি বছর হল স্কুলে রয়েছি, কোনওদিন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সেদিন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল যে স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “আট জন শিক্ষিকা আমার কাছে এসে উত্তেজিত হয়ে চেঁচামেচি করে। তাতেই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। এসবের কারণে আমি ভয়ে আছি। আমাকে যেন আর কোনওদিন আক্রমণ না করা হয়।”
ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলে যান পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা শ্রীরামপুর পৌরসভার কাউন্সিলর তিয়াসা মুখোপাধ্যায়। এই ঘটনায় সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার নিন্দা করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্কুল পরিচালন কমিটি স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি তিয়াসা মুখোপাধ্যায় বলেন, “খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। খবর পাওয়ার পর আমি স্কুলে গিয়ে দেখি বড়দি কাঁপছেন। এ ধরনের ঘটনা কখনই বাঞ্ছনীয় নয়। স্কুলে মিটিং করে একটা কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মাহেশে এত ভাল একটা স্কুলে পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া চলবে না।