বীরভূমের রামপুরহাটে ভয়াবহ গণহত্যার অভিযোগ! চরম কোলাহল রাজ্য রাজনীতিতে, পেছনে কি তথ্য?
বিশেষ সংবাদদাতা: ২২/০৩/২০২২: সোমবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের। তাঁর মৃত্যু ঘিরেই বর্তমানে ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তেজনা গোট রাজ্যজুড়ে।
ভাদু রামপুরহাটের এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন ভাদু। ঘটনার সময় একটি চায়ের দোকান বসে আড্ডা মারছিলেন। এমতাবস্থায়, তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ে পালায় এক দল দুষ্কৃতি। স্থানীয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভাদুকে নিয়ে যাওয়া হলেও হয়নি শেষ রক্ষা। দুষ্কৃতিদের বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতার। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই অগ্নিগর্ভ। তার জেরেই ওই গ্রামের প্রায় ৩ টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠে আসে। প্রায় ৮ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় যার মধ্যে ২ জন শিশু ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
এদিকে, রামপুরহাটকাণ্ডে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের আবার অভিযোগ, তৃণমূল খুন করেছে তৃণমূলকে। কারণ রামপুরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম জিতেছে। বগটুই গ্রামের বাসিন্দাদের ভোট লুঠের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও সেখানে সিপিএম জিতেছে। তার প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা।’
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে দিনের শুরুতেই নবান্নে জরুরি বৈঠক হয়। ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি ও অন্যান্য শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা। এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য সাফ জানান, এই ঘটনার পিছনে রাজনীতির যোগ নেই। গ্রাম্য বিবাদ বা পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরেই এমনটা ঘটে থাকতে পারে। তবে সবটাই তদন্তসাপেক্ষ।
পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ”এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। রাজ্যকে বদনাম করার জন্য এটি করা হয়েছে।” মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে টুইটে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে ফের সরব হন। এ বিষয়ে মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।