SSKM এ প্রভাবশালীরা কেন মাসের পর মাস বেড আগলে পড়ে আছে? উত্তর চাইলো আদালত
শুরুটা হয়েছিল সেই মদন মিত্রকে দিয়ে। শেষ কোথায় হবে কেউ জানে না। আর সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গেছেন কালীঘাটের কাকু। এই নিয়েওই দুটি জনস্বার্থ মামালা হয় কোলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীরা দাবি করেন, SSKM হাসাপাতালে একাধিক অভিযুক্ত সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ বেড ও কেবিন দখল করে রয়েছে। মাসের পর মাস তাদের কী চিকিৎসা সেখানে চলছে তা নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসছে না। বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তারা বেড পাচ্ছে না। ওদিকে রাজনৌতিক নেতারা SSKM এ প্রায় ফাইভ স্টার হোটেলের সুবিধা নিচ্ছেন।
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, এব্যাপারে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে তাদের। জেলবন্দি আসামিকে দিনের পর দিন হাসপাতালে রাখার ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়েছে কি না তা আদালতকে জানাতে হবে তাদের। ওদিকে কালীঘাটের কাকুকে শিশুদের বেডে রাখা নিয়ে প্রশ্ন করে হলে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায় নি। এদিকে কালীঘাটের কাকু ও জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক বহুদিন ধরেই SSKM সুখে আছে। সবটা মিলিয়ে যথেষ্ট উস্মা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি। ২২ আগস্ট থেকে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র আর ৮ ডিসেম্বর থেকে জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক বেড আটকে পড়ে আছেন।
প্রশ্ন উঠেছে কোনো সাধারণ মানুষকে কি এতো দীর্ঘদিন হসপিটালে থাকার সুযোগ দেয় হসপিটাল? উত্তর দিতে হবে হসপিটাল সুপারকে।