গুজরাত সেতু বিপর্যয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, জখম শতাধিক, ঘটনস্থলে যেতে পারেন নরেন্দ্র মোদি
নিজস্ব সংবাদদাতা, ৩১/১০/২০২২ : গুজরাটের মচ্ছু নদীর উপর ঐতিহাসিক ঝুলন্ত ব্রিজ। মৌরবি জেলার সেই কেবল ব্রিজই ভেঙে পড়েছে রবিবার সন্ধ্যায়। এই দুর্ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এবার দেখে নেওয়া যাক এই ব্রিজের নানা দিক। সূত্রের খবর, এই ব্রিজটি পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় ছিল। প্রায় শতাব্দী প্রাচীন এই ব্রিজ। বছর খানেক ধরে এই ব্রিজের সংস্কার হয়েছে। এরপর দিন কয়েক আগেই দেওয়ালির আগে সেটি খুলে দেওয়া হয়। আর সেই সেতুই ভেঙে পড়ল এদিন।
মৃতদেহগুলি মাছু নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও জখম অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অনেকেরই অবস্থা সংকটজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। সূত্রের খবর, সোমবার ঘটনাস্থলে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করতে পারেন তিনি। সোমবারই আহমেদাবাদে রোড শো করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু সেতু বিপর্যয়ের জেরে সেই রোড শো বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও সোমবারই ভার্চুয়াল মাধ্যমে ২হাজার ৯০০ কোটির রেল প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। গুজরাট বিজেপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক যোগনেশ দাভে জানিয়েছেন, মোরবিকাণ্ডের জেরে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কোনও কর্মসূচি রাখা হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, তিন দিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন মোদী। তাঁর সেই সফরের মধ্যেই ঘটেছে এই ভয়াবহ বিপর্যয়।
রবিবার মোরবিতে শতাব্দী প্রাচীন ঝুলন্ত সেতু(Hanging Bridge) মাছু নদীতে ছিঁড়ে পড়ে। ওই সময় সেতুর উপরে ছিলেন বহু মানুষ। তাঁরা সকলেই ছিটকে পড়ে নদীতে পড়ে যান। দুর্ঘটনার পর সারা রাত ধরে উদ্ধার কাজ চালায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এছাড়াও উদ্ধার কাজে নামে সেনার তিন বিভাগও। গুজরাটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হর্ষ সাংভি জানিয়েছেন, ২০০-র বেশি মানুষ উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন। এই ঘটনায় কেন্দ্রের তরফে নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও আহতদের কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। দুর্ঘটনার দায়ভার নিয়েছে গুজরাট সরকার। কেন্দ্রের পাশাপাশি নিহতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেবে গুজরাট সরকারও। আহতদের রাজ্যের তরফে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা।