শুভেন্দু অধিকারী ‘নেতাই কাণ্ড’কে আবার সামনে নিয়ে আসলেন
বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি একটি কলঙ্কিত দিন বলে চিহ্নত হয়ে আছে। ওই দিন লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের (Rathin Dandapte) বাড়ি থেকে নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ৪ জন মহিলা-সহ মোট ৯ জন মারা যান। ২৮ জন আহত হন। ভয়ঙ্কর সেই দিনকে স্মরণ করে তৃণমূল প্রতি বছর ৭ জানুয়ারি নেতাই দিবস পালন করে।
যদিও পড়ে পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে রথীন বাবুর বাড়ির বাইরেই একাধিক গুলির চিহ্ন ছিল। এতে এটা প্রমাণ হয়েছিল যে সেদিন বাইরে থেকেও ওই বাড়ি উদেশ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়েছিল।
এখনো অবশ্য জেলা ভাগের পড়ে লালগড়(Lalgarh ) পড়ছে ঝাড়গ্রাম (Jhargram )জেলার মধ্যে। যতদিন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে ছিলেন, প্রতি বছর ৭ তারিখ তিনি নেতাই যেতেন। কিন্তু ২০২০ সালে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে তাঁকে নেতাই যেতে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ করেন।
২০২২ সালে ঝিটকার জঙ্গলের (Jhitka Forest) কাছে পুলিশি ব্যারিকেড বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরতে হয়েছিল শুভেন্দুকে। তবে এবার তিনি নেতাই যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই তিনি পৌঁছে গেলেন আদালতের অনুমতি নিতে। কারণ তিনি জানেন পুলিশ তাকে লালগড় যাওয়ার অনুমতি দেবে না।