উইলিয়ামসের হ্যাটট্রিক গোলে আবাহনী ঢাকা কে উড়িয়ে এ এফ সি কাপের মূলপর্বে মোহনবাগান
ভুবন মোহনকর: ১৯/০৪/২০২২: ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে দল পাঁচ গোলে জিতলেও তাঁর নামের পাশে ছিল না কোনও গোল। সেই আক্ষেপ আবাহনী ঢাকার বিরুদ্ধে সুদে-আসলে মেটালেন ডেভিড উইলিয়ামস। যুবভারতীত ক্রীড়াঙ্গনে একাই যাবতীয় লাইম লাইট কেড়ে নিলেন ডেভিড উইলিয়ামস । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অজি হব ফরোয়ার্ডের হ্যাটট্রিকেই এটিকে মোহনবাগান পদ্মাপারের ক্লাব আবাহনী ঢাকাকে ৩-১ উড়িয়ে এএফসি কাপের মূলপর্বে পৌঁছে গেল।
গত ম্যাচে ব্লু স্টারকে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড পাঁচ গোল দিয়েছিল। কিন্তু ডেভিড ছিলেন নিস্প্রভ। তবে এদিন একাই এএফসি কাপ প্লে-অফে ঢাকার ক্লাবকে বুঝে নিলেন ব্রিসবেনের ৫ ফুট ৭ ইঞ্চির স্ট্রাইকার। শুরু থেকেই বাঁ দিক দিকে একের পর এক আক্রমণ তুলে আবাহনীর ডিফেন্ডারদের বিপদে ফেলছিলেন লিস্টন।
প্রথম গোল পেতে এটিকে মোহনবাগানকে অপেক্ষা করতে হল মাত্র ছয় মিনিট। ফিনল্যান্ডের ফুটবলার মুখ তুলে এক বার দেখে নেন ডেভিড উইলিয়ামস ঠিক কোথায় রয়েছেন। তার পর চলতি বলেই ক্রস ভাসান তিনি। আবাহনীর ডিফেন্ডারদের টপকে প্রায় উড়ে এসে বলে পা ছুঁইয়ে গোল করেন উইলিয়ামস। তাঁর সামনেই ছিলেন ডিফেন্ডার মিলাদ সোলেমানি। তিনি উইলিয়ামসকে আটকাতে পারেননি। ২০ মিনিটে সুযোগ মিস করেন কাউকো। ডান দিক থেকে প্রীতম কোটালের ভাসানো পাসে তাড়াহুড়ো করে শট মারতে গিয়ে বল উড়িয়ে দেন। এর নয় মিনিট পরে আবার এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান।
প্রথমার্ধ শেষের কিছুক্ষণ আগে লিস্টন একক প্রচেষ্টায় একটি শট নিয়েছিলেন, যা প্রতিহত হয়। সেই বল ফাঁকায় থাকা উইলিয়ামসকে বাড়ালে গোল হতেও পারত। বিরতির পর আবাহনী ঢাকা অবশ্য অনেক বেশি সংগঠিত হয়ে নেমেছিল। বল আদানপ্রদানের জায়গায় দিচ্ছিল না সবুজ-মেরুনকে। আক্রমণেও তারা এগিয়েছিল। সেই পরিশ্রম কাজে আসে ৬০ মিনিটে। ৬৭ মিনিটের মাথায় জুয়েল রানার গড়ানোর শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। বাংলাদেশের ক্লাবটির আক্রমণ দেখে মনে হচ্ছিল যে কোনও সময় তারা সমতা ফেরাতে পারে। সুযোগের অপেক্ষায় ছিল এটিকে মোহনবাগানও। সেই সুযোগ এল খেলা শেষের পাঁচ মিনিট আগে। আক্রমণে এটিকে মোহনবাগানের অর্ধে উঠে এসেছিল আবাহনীর প্রায় গোটা দলই।
সবার অলক্ষ্যে মাঝমাঠ থেকে ভাসানো পাস উইলিয়ামসের উদ্দেশে বাড়িয়ে দেন বুমোস। এ বারও অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারের সামনে একা ছিলেন গোলকিপারই। কিন্তু দ্বিতীয় বার ভুল করলেন না উইলিয়ামস। ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করলেন তিনি। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেল এএফসি কাপের মূলপর্বে এটিকে মোহনবাগানের খেলাও।