মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডব চলল বাংলাদেশে, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে মৃত ১০
নিজস্ব সংবাদদাতা: আশঙ্কা সত্যি করে সোমবার মাঝরাতেই বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পড়ল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। বড় বিপর্যয়ের মুখে ওপার বাংলা। ঝড়বৃষ্টিতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। রাতভর তাণ্ডব দেখানোর পর শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সিত্রাং। তবে তার চোখরাঙানি থেকে রক্ষা পেয়েছে এপার বাংলা।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মূল কেন্দ্রটি উপকূল অতিক্রম করে মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। এখনও অবধি কুমিল্লায় ৩ জন, ভোলায় ২ জন, নড়াইলে ১ জন, বরগুনায় ১ জন এবং সিরাজগঞ্জে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সিত্রাংয়ের প্রভাবে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের দড়িকান্দি এলাকায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে বড় গাছ উপড়ে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের অন্তত ১৩টি জেলায় প্রভাব ফেলেছে।
সিত্রাংয়ের জেরে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও বরিশালে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যায় এবং ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এই ঝড়ের দাপটে একাধিক এলাকায় দেওয়াল ও গাছ ভেঙে পড়ে এই সব কারণেই মৃত্যু হয় অনেকের। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মঙ্গলবার বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের স্কুল, কলেজ সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে ভারতের মৌসম ভবনের তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, ‘গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। রাত ২:৩০ টে নাগাদ ঢাকার ৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ও আগরতলা থেকে ৬০ কিলোমিটার থেকে উত্তর-পূর্বে অবস্থান করছে সিত্রাং। পরবর্তী ৩ ঘণ্টায় তা দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তারপর পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় আরও দুর্বল হবে।’