মানুষের চাকরি নেই, বেতন নেই, আর পুজোর অনুদান ৭০ হাজার? অনুদান নিয়ে আইনি পদক্ষেপ বিচারপতি অমৃতা সিনহার
ভুবন মোহনকর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০/০৯/২০২৩: হতে গোনা কটা দিন পরেই পুজো। জায়গায় জায়গায় থিমের লড়াই, প্যান্ডেল সজ্জা থেকে শুরু করে আলোকসজ্জার লড়াই। সাজো সাজো রব। কিন্তু চাকরির দাবিতে কত শত মানুষ রাস্তায় বসে , কেউ কেউ কাজ করছে কিন্তু হাতে সময়ে বেতন পাচ্ছে না। ডি এ সমস্যা। অথচ রাজ্য সরকার সেদিকে পাত্তা না দিয়েই প্রতি বছর পুজোর অনুদান বাড়িয়েই যাচ্ছেন। একটি পুজো করা চারটি খানি কথা নয়। এর পিছনে বহু অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে। সে কারণে আজকাল সরকার থেকে অনুদান দেওয়া হয় পুজো কমিটিগুলোকে।
সরকার প্রতি বছর মোটা টাকা দিয়ে থাকেন বিভিন্ন ক্লাবকে। আর এবার বৃদ্ধি পেয়েছে সেই অনুদানের অঙ্ক। ৭০ হাজার টাকা করে প্রতিটি ক্লাবকে অনুদান দেবেন মমতা সরকার। যা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পর সমালোচনাও হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হল। এদিন পুজো সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্য সরকারের এই অনুদান বৃদ্ধি নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়, যে সব ক্লাব রাজ্যে নথিভুক্ত রয়েছে, শুধু তারা পায়। এরপরই বিচারপতি কার্যত বিস্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, রাজ্যের মানুষ বেতন পাচ্ছেন না, চাকরি নেই, পেনশন নেই, এদিকে পুজো কমিটিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্য করা শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের নামী পুজোর উদ্বোধনেও দেখা যায় তাঁকে।
কলকাতা-সহ রাজ্যের দুর্গাপুজোগুলির জন্য প্রথমে ২৫ হাজার টাকা অনুদান ঘোষণা করা হয়েছিল সরকারের তরফে। কোভিড পর্বে পুজো কমিটিগুলি যখন প্রবল সমস্যায় পড়েছিল তখন অনুদানের অর্থ বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। গত বছর অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে ৬০ হাজার এবং চলতি বছর তা ৭০ হাজার করার ঘোষণা করা হয়।