যুদ্ধ থামাতে দুই দেশের মধ্যে নরেন্দ্র মোদীর মধ্যস্থতার অনুরোধ ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতের
ভুবন মোহনকর: ২৪/০২/২০২২; আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্যের অঙ্গীকার করলেও সরাসরি সেনা পাঠানোর বার্তা দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রবল চাপের মুখে প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সরকার ভারতের মতো ‘রাশিয়ার পুরনো বন্ধুরাষ্ট্রের’ সাহায্য চেয়েছেন বলে কূটনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা।
শুরু হয়ে গেছে মহা যুদ্ধ। রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে নেমেছে ইউক্রেন। কিয়েভে আছড়ে পড়ছে মস্কোর ক্ষেপণাস্ত্র। পিছিয়ে নেই ইউক্রেনও। রুশ বিমান এবং হেলিকপ্টার গুলি করে নামিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। রীতিমতো তৎপর হয়েছে গোটা বিশ্ব। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সাহায্য চাইল ইউক্রেন। বিশেষত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ইউক্রেন।
বৃহস্পতিবার ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ড. ইগর পোলিখা বলেছেন, “আমি জানিনা কতজন রাষ্ট্রনেতার কথা পুতিন শুনে চলবেন, কিন্তু আমার বিশ্বাস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যদি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন তাহলে বিষয়টি কিছুটা হলেও আয়ত্তে আসবে”। তিনি আরো বলেন, “এক্ষেত্রে রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগেও শান্তিরক্ষার কাজ করেছে ভারতবর্ষ, তাই এই মুহূর্তে আমরা সাহায্য চাইছি ভারতবর্ষের কাছে যাতে ভারতবর্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে আসে”।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোরে পুতিনের যুদ্ধ ঘোষণার পরেই ইউক্রেন সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় স্থল এবং আকাশপথে আঘাত হেনেছে রুশ বাহিনী। রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। খারকীভ শহরের অদূরে অবতরণ করেছে রুশ ছত্রীসেনা। উপকূলবর্তী মারিউপোল এবং ওডেসা শহরে রুশ নৌবাহিনীর ‘অ্যাম্ফিবিয়ান ল্যান্ডিং ভেহিকল’ থেকেও সেনা অবতরণ শুরু হয়েছে।
আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্যের অঙ্গীকার করলেও সরাসরি সেনা পাঠানোর বার্তা দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রবল চাপের মুখে জেলেনস্কি সরকার ভারতের মতো ‘রাশিয়ার পুরনো বন্ধুরাষ্ট্রের’ সাহায্য চেয়েছেন বলে কূটনৈতিক মহলের ধারণা।