দুই নক্ষত্রের প্রয়াণে শোক সভা ঘাটাল মহকুমা সাহিত্য একাডেমীর
প্রণয় মাইতি, কিউরিওসিটি সংবাদ বার্তা: রবিবার তেসরা জুলাই ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক শ্রদ্ধেয় প্রণব কান্তি হড় এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সাহিত্যিক শ্রদ্ধেয় গোপাল মিশ্রের প্রয়াণে এক শোকসভা আয়োজিত হয় ঘাটাল বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়ে।
এই সভায় উপস্থিত থাকেন ঘাটাল মহকুমার বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঘাটাল মহকুমা সাহিত্য একাডেমীর সম্পাদক ডক্টর পুলক রায় আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি।ঘাটালের প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় মহকুমা শাসক শ্রী সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল মহকুমার প্রাক্তন মহকুমা শাসক ও পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন নিগমের অবসরপ্রাপ্ত এস্টেট ম্যানেজার শ্রী জয়দেব ঘোড়া, শিক্ষক হরগোবিন্দ দোলই,প্রাক্তন রেল আধিকারিক নবীনচন্দ্র বেরা, প্রধান শিক্ষক সমরেন্দ্রনাথ আদক ও সুভাষচন্দ্র দত্ত, প্রাক্তন শিক্ষক তাপস পোড়েল সহ বহু বিশিষ্ট মানুষ প্রণববাবু ও গোপালবাবুর স্মৃতিচারণা করেন।।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহকুমা শাসক শ্রী সুমন বিশ্বাস বলেন যে শ্রী প্রণব হড় এবং শ্রী গোপাল মিশ্রের প্রকৃত স্মৃতিধারণ তখনই সম্ভব যদি আমরা তাঁদের লেখাগুলিকে সংকলিত করে গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করতে পারি এবং মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি। বীরসিংহ ভগবতী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী হরগোবিন্দ দোলই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন যে প্রণববাবু ছিলেন একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও সমাজসেবক।
গোপাল মিশ্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং বলেন যে এই সরলপ্রাণ মানুষটি মেদিনীপুরের বহু সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন; এমন কি তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের কাছে প্রথম বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আবেদন নিয়ে চিঠি লেখেন ।
সবং শিশুবিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক অরুণাভ মাইতি বলেন যে, প্রণববাবু ছিলেন ঘাটাল মহকুমা সাহিত্য অ্যাকাদেমির বিশুদ্ধতম ধারক,বাহক ও প্রচারক।জীবানন্দবাবু,প্রণববাবু এবং গোপালবাবুর শূন্যস্থান পূরণ করা অত্যন্ত কঠিন হবে।
এছাড়াও বহ মানুষ জন আজ প্রণব বাবু এবং গোপাল বাবুর স্মৃতিচারণ করেন কথায় ,কবিতায় এবং গানে ।আজ প্রণববাবু ও গোপালবাবুর স্মৃতিতে একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করা হয়।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করেন বাসুদেবপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক শ্রী তারাশঙ্কর দাস বৈরাগী।