কলকাতাখবরচাকরি ও শিক্ষারাজ্য

মধ্যরাতে করুণাময়ীতে পুলিসি ধরপাকড়! নিন্দায় অপর্ণা সেন

মধ্যরাতে করুণাময়ীতে পুলিসি ধরপাকড়! নিন্দায় অপর্ণা সেন

 

নিজস্ব সংবাদদাতা: সকাল থেকে সেই থমথমে পরিবেশ আর নেই। নেই আন্দোলকারীদের মৃদু গুঞ্জন। বৃহস্পতিবার মাঝরাতেই জোরজবরদস্তি অনশনকারীদের হঠিয়ে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। আদালতের নির্দেশ ছিল এপিসি ভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করার।

এরপর থেকেই তৎপর হয় পুলিশ। ১৫ মিনিটের জোরদার অপারেশন-কার্যত খালি হয়ে যায় করুণাময়ীতে ৮০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলা টেট চাকরি প্রার্থীদের অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি। শেষমেশ রাস্তা খালি করতে মধ্যরাতে অভিযানে নামে পুলিশ। কার্যত টেনে হিঁচড়ে, পাঁজাকোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের বাসে এবং প্রিজন ভ্যানে তুলতে শুরু করেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশকর্তারা। তিনটি বাসে ঠাসাঠাসি করে ঢুকিয়ে আন্দোলনকারীদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

শুক্রবার সকাল থেকেই এই ঘটনার নিন্দায় নেমেছে একাধিক মহল। করুণাময়ীতে পুলিশি অভিযানের নিন্দা করে ট্যুইট করলেন অপর্ণা সেন। লিখলেন, “অনশনকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে তৃণমূল সরকার৷ অহিংস আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করা হল কেন? সরকারের অনৈতিক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করছি!”

 

উল্লেখ্য, আন্দোলনকারীদের আটক করার আগে পুলিশের তরফ থেকে মাইকে ঘোষণার মাধ্যমে তাঁদের উঠে যেতে বলা হয়। সেই অনুরোধে কাজ না হওয়ায় উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নির্দেশে পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুলিশ। ২০১৪ সালের প্রার্থীদের যখন টেনে হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছে, তখন এত কিছুর দেখেও নিজেদের প্রতিবাদে অনড় ছিলেন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা। পুলিশ এসে তাঁদের সঙ্গেও কথা বলে। তাঁদের মধ্যেও কিছু জনকে বাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র।

তবে, বেশির ভাগই নিরাপত্তার কারণে অত রাতে কোথাও চলে যেতে রাজি হননি। পরে আরও বড় পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসা হয়। প্রথমে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা পুলিশকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁরা সকাল হলেই করুণাময়ী চত্বর ছেড়ে চলে যাবেন। কিন্তু, তাঁদের সেই ভরসা সত্ত্বেও অবশেষে পুলিশ তাঁদের সকলকেই সরিয়ে দেয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.