কলকাতাখবরচাকরি ও শিক্ষা

কালীপুজোয় কালী সেজে ধর্মতলায় অভিনব প্রতিবাদ টেট উতির্ণ চাকরিপ্রার্থীদের

কালীপুজোয় কালী সেজে ধর্মতলায় অভিনব প্রতিবাদ টেট উতির্ণ চাকরিপ্রার্থীদের

 

নিজস্ব সংবাদদাতা: আলোর উৎসবে মাতোয়ারা গোটা রাজ্য। কালীপুজোর দিন ওঁদের জীবনে পৌঁছল না আলোর রোশনাই। ন্যয্য চাকরির দাবিতে এখনও পথে তাঁরা। সোমবারও ধর্মতলার মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ধারে দেখা গেল টেট চাকরিপ্রার্থীদের। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ধরনা চলছে এখনও। কালী সেজে এবার ধরনায় সামিল হলেন আন্দোলনকারীরা। দেবীর কাছে আর্জি জানালেন, ‘আমাদের প্রতি যে মানবরূপী দানবগুলি অত্যাচার করছে, তাঁদের নিধন করতে আর একবার ধরনীর বুকে এস’! চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

 

‘হীরক রাজার দেশে’ নাট্যরুপে অভিনব প্রতিবাদ করলো তারা। রা। দীপাবলিতে আঁধারেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরেন সমস্তরা। প্রদীপ জ্বালিয়ে প্ল্যাকার্ডে লেখা হয় আলোহীন দীপাবলি। মধ্যেই একজন সাজের হীরক রাজা। অপর দু’জন হয়েছেন গুপী এবং বাঘা। সেখানে তাঁদের মুখে নাটকের সংলাপগুলি ছিল বর্তমান নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে মিলিয়ে। হীরক রাজা বলেন, “জয়গান করে লাভ নাই। আমার কিছু মালকড়ি চাই। যাদের আমি পুষি, তোমাদের কাছে আমি মোটেই নয় খুশি।” এরপরই তিনি বলেন, “সময় সময় করে দিন যাচ্ছে বেড়ে। টাকা কড়ির দেখা নাই। উপদেষ্টা, করবেন নাকি চেষ্টা।” একইসঙ্গে রাজার মুখ দিয়ে বলানো হয়, “লেখাপড়া করে যে, অনাহারে মনে সে। রাজ্যে এখন নিয়োগ নাই। নিয়োগ সামনে এলে আমরা করব কামাই।” এভাবেই অভিনব উপায়ে প্রতিবাদ জানায় তারা।

 

এদিকে অনলাইনে টেট নিয়োগে আবেদন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। দুর্গাপুজোর চতুর্থীর দিন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শূন্যপদের সংখ্যা এগারো হাজারেরও কিছু বেশি। এরপরই সল্টলেক করুণাময়ীতে পর্ষদের অফিসের সামনে অনশন শুরু করেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। দাবি, ইন্টারভিউ ছাড়া চাকরি দিতে হবে। শেষপর্যন্ত মধ্য়রাতে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিস।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.