একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো উদ্বোধনে গিয়ে প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি পছন্দ হলো না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের!!
“এটা কী হয়েছে? বড্ড তাড়াহুড়োয় করা নাকি? মুখের তো তেমন মিল নেই?” একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো উদ্বোধনে গিয়ে প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি পছন্দই হল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার মূর্তি উন্মোচন করেন তিনি। পছন্দ না হওয়ায় ওই মূর্তি দ্রুত বদলের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।প্রয়াত মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি জানান, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো মণ্ডপে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গাড়ি থেকে নেমেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির দিকে এগিয়ে যান তিনি। তবে কিছুটা বিরক্ত হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এটা কী হয়েছে? বড্ড তাড়াহুড়োয় করা নাকি? মুখের তো তেমন মিল নেই?” মুখ্যমন্ত্রীর মতো একই মত প্রয়াত মন্ত্রীর স্ত্রীরও। তাঁর মতে, মূর্তিটি যে তাড়াহুড়ো করে তৈরি করা হয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে মূর্তি বদলের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
একডালিয়া এভারগ্রিনে প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি উদ্বোধন করে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা নিয়ে আবার সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়াত নেতার অকালমৃত্যুর জন্য এজেন্সিকেই পরোক্ষে দায়ী করেছেন তিনি। ২০২১ সালে জয়ের পর যখন উৎসব চলছে তখন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে নারদ কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই ঘটনার পর সুব্রতবাবু অপমানে ভেঙে পড়েন।
মঙ্গলবার মমতা সেই স্মৃতি উসকে বলেন, ‘‘সুব্রতদা এতটাই অপমানিত হয়েছিলেন যে বলেন, ‘আমি ওষুধ খাব না। আমাকে দুটো গুলি (বুলেট) দে। একটা আমি নিজের বুকে করব। আরেকটা যারা অপমান করেছে তাদের।’’ উন্নয়নের খতিয়ান দিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় এমন রাজনীতি আগে কখনও ছিল না। আদৌ বাংলার মাটির সঙ্গে এদের সম্পর্ক আছে কি না জানি না। একাধিক প্রকল্পে আমরা প্রথম। তাও টাকা দেয়নি। এই সব নিয়ে খেলে বেড়াচ্ছে। নিজেরা দেশটাকে কী করছে আগে দেখো।’’
রেলমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই বাংলাকে নিয়ে ভেবেছেন মমতা। নিজের ভাষণে সেই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘খারাপ লাগত, আমি যখন দিল্লিতে সাংসদ ছিলাম বলত, বাংলায় কিছু হয় না। ওখানে খালি হিংসা। তখন স্বপ্ন দেখতাম বাংলাকে সেরা করব। রেলমন্ত্রী থাকার সময়ই জানতাম আমরা আসব। তাই আগে থেকেই রেলের প্রকল্প দিয়েছিলাম। তখনই প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছিলাম।’’মমতা একইসঙ্গে বলেন, ‘‘কিছু লোক আছে মগজে শুধু কুবুদ্ধি। ববিকে (ফিরহাদ হাকিম) দেখালাম উত্তীর্ণ, কার পার্কিং সেন্টার, আলিপুর নিউ মিউজিয়াম দেখালাম। তার পর হাসপাতাল, কলেজ, রাস্তা, পার্ক কিছু বাকি রাখা হয়নি। রবীন্দ্রসদনে গিয়ে দেখি ছারপোকা ঘুরে বেড়ায়। তখন কেউ কোনও কাজ করত না। প্রত্যেকটা জায়গায় উন্নয়ন আমরা করেছি।’’