শান্তিনিকেতন ডিজিটাল রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ডিজিটাল রিসার্চ সেন্টার তৈরী করার উদ্দেশ্য থেকে চিকিৎসা বিভাগে উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একাধিক বিষয় তুলে ধরলেন শান্তিনিকেতন ডিজিটাল রিসার্চ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর অমিতাভ সরকার ও রাজ্যের প্রাক্তণ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ড: সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়।
অমিতাভ সরকার বলেন, “শান্তিনিকেতন ডিজিটাল রিসার্চ সেন্টার যে আমরা করেছি তার সুদূরপ্রসারী একটা এফেক্ট আছে এবং এর লক্ষ্য খুব সুদূরপ্রসারী। আমরা গত ১২ বছর ধরে মূলত টেকনিক্যাল এডুকেশনের সঙ্গে যুক্ত আছি। সেক্ষেত্রে পলিটেকনিক কলেজ, আইটিআই কলেজ এবং বিভিন্ন স্কিল সেন্টার আমাদের চলেছে। আমাদের লক্ষ্য এখান থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা পাস আউট হওয়ার পর বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যুক্ত হবে। এই ডিজিটাল রিসার্চ সেন্টারের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাস্থ্য পরিষেবা বা যেকোনো রকমের পরিষেবার সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের যুক্ত করতে চেয়েছি।….”
এছাড়াও কর্মসংস্থানের বিষয়টি তুলে ধরে অমিতাভ সরকার বলেন, ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিকের পর কোন কোর্সের দিকে যাবে, কি নিয়ে পড়াশোনা করলে তাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না সেজন্যই চালু হয়েছে আডমিশন পোর্টাল। এছাড়া জব পোর্টাল, টেলি মেডিসিন পোর্টাল, এস ডি মার্কেট পোর্টাল, এন্টারপেনরশিপ পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। এই সমস্ত পোর্টালের দ্বারা লাভবান হবে সকল মানুষ । এছাড়াও আগামী দিনে এগ্রিকালচার ও আই টি ফিল্ডকে আরও উন্নত করার কথা তিনি জানিয়েছেন।
রাজ্যের প্রাক্তণ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ড: সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই মুহূর্তে এই রিসার্চ সেন্টারটি রেডিওলজি ও প্যাথলজির উপর চালু হয়েছে। পরবর্তীতে খুব তাড়াতাড়ি আইটিইউ সার্ভিস চালু হতে চলেছে। প্রত্যন্ত জেলাগুলোতে এর খুব অভাব রয়েছে, তার উপরে কাজ শুরুও করে দিয়েছেন। ভবিষ্যতে এগুলোকে আরও বড় করে তুলতে চাইছেন তাঁরা। অত্যাধুনিক ব্লাড ব্যাংকও তৈরি হয়েছে তাদের। এর ফলে বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পরিষেবার জন্য। নতুন প্রযুক্তি “মেটাভার্স” ও শান্তিনিকেতন ডিজিটাল রিসার্চ সেন্টারের প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই উন্নত প্রযুক্তির ফলে এবং এই রিসার্চ সেন্টারের মধ্য দিয়ে যে ছাত্রছাত্রীরা বেশ উপকৃত হবেন তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়।