জাপানে বর্ষবরণে ধেয়ে আসছে বড়ো সুনামি
জাপানে বর্ষবরণে ধেয়ে আসছে বড়ো সুনামি। সতর্কবার্তা জারি। উপকুল থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সকলকে।
দ্বীপরাষ্ট্র জাপানে বার বার করে আঘাত হানে ভূমিকম্প ও তার ফলে সুনামি। এবার নতুন বছরেই প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো জাপান। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.২। তারপরে ৯০ মিনিটের মধ্যে পর পর ২১ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে। একাধিক রাস্তায় ফাটল ধরেছে। আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন সকলে। এখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি তাঁরা। তারপরে আবার সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবার সর্বোচ্চ স্তরের সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের রাতেও বাড়ি ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ সমুদ্রের উপকূলবর্তী এলাকায় সুনামীর উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়েছিল পাড়ে। তার থেকেও উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে বাসিন্দাদের। উপকুলের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রবল ত্রাস।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, এখনও উত্তাল সমুদ্র। ইশিখাওয়া, নিগাটা, ফুকাই দ্বীপে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে সুনামি এবং ভূমিকম্পের। মৃতের কোনো খবর এখনও জানানো হয়নি। তবে আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার নিয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনেকে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তা নিয়ে সঠিক তথ্য নেই। একাধিক রাস্তায় চওড়া ফাটল ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যে ভারতে নিযুক্ত দূতাবাসে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। অনেক ভারতীয় বসবাস করে জাপানে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে বুলেট ট্রেন পরিষেবা। ৩৬,০০০ বাড়ি অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। আগামী কয়েকদিন আরও ভূমিকম্প হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। এই ভূমিকম্পের প্রভাবে উদ্ভুত সুনামির প্রভাব পড়তে পারে দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়ার উপকূলে। সেখানেও সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে। ১৯১১ সালে জাপানের তোহোকুতে প্রবল ভূমিকম্প ও সুনামিতে ১৮ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছিলো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জাপানকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।