বাংলাদেশের দিকে মুখ ঘোরাল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, কোথায় আছড়ে পড়বে?
নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার সকালের মধ্যেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে সিতরাং এমনটাই জানা গিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। পূর্ব-মধ্য ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপরে এটি তৈরি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শনিবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব ও সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি করতে শুরু করেছে। তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং কবে আছড়ে পড়বে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল। বাংলার জন্য কিছুটা হলেও সুখবর। আর কপাল পুড়তে চলেছে বাংলাদেশের। সোজা কথায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আছড়ে পড়বে পড়শি দেশেই।
IMD। তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ” বাংলাদেশ উপকূলবর্তী এলাকায় আছড় পড়তে পারে সাইক্লোন সিত্রাং।” আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হচ্ছে, ২৫ তারিখ সিত্রাং বাংলাদেশ উপকূলের তিনকোনা কোস্ট এবং সন্দীপের মধ্য দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে চলেছে। কিন্তু, এর প্রভাবে কালীপুজোর দিন অর্থাৎ ২৪ তারিখ উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে এবং পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুরও পেতে চলেছে ভারী বৃষ্টিপাত। অন্যদিকে, ২৫ তারিখ বৃষ্টি অল্প কমতে পারে। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়াতে মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
শনিবার সকাল থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে নদী বা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কেউ সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে থাকলে তাঁদের অবিলম্বে ফিরে আসার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বকখালি, মৌসুনির মতো সমুদ্র উপকূলবর্তী পর্যটনকেন্দ্রগুলিও খালি করে দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার বন্দোবস্তও রাখা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।