অফবিটসাহিত্য ও সংস্কৃতি

Chhath Puja : শুরু হয়েছে ছট মহাপর্ব, জেনে নিন নিয়ম কানুন

শুরু হয়েছে ছট মহাপর্ব, জেনে নিন নিয়ম কানুন

 

নিজস্ব সংবাদদাতা: ছট পুজো হিন্দু বর্ষপঞ্জীর কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে উদযাপিত একটি প্রাচীন হিন্দু পার্বণ। এই লৌকিক উৎসব পূর্ব ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এবং নেপালের তরাই অঞ্চলে পালিত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হিন্দুদের দ্বারা পালিত হওয়া এই উৎসবটি অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যেও পালিত হতে দেখা গিয়েছে। ধীরে ধীরে এই পার্বণ প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রচলিত হয়েছে।

 

এই মহোৎসবে সূর্য ও ষষ্ঠী দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। চারদিন এই পুজো চলে। কঠিন নিয়ম পালনের মধ্যে দিয়ে এই পুজো সম্পন্ন করা হয়। এই পুজো আবার সূর্য ষষ্ঠী নামেও পরিচিত। এই পুজোয় উপবাস থেকে সূর্য ও ষষ্ঠী দেবীর আরাধনা করা হয়। শেষের দুদিন অর্থাৎ ষষ্ঠী ও সপ্তমীর দিনে সূর্যকে অর্ঘ্য দিয়ে এই পুজো সম্পন্ন করা হয়।

 

ছট পুজোর প্রথম দিন নাহায়-খায় নামে পরিচিত। এই তিথি থেকেই পুজো শুরু।ছট পুজোর দ্বিতীয় দিনকে বলা হয় খরনা। ছট পুজোর তৃতীয় দিনে জলে দাঁড়িয়ে উপাসনা করার পর অস্তিমিত সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়া হয়। ছট পুজোর চতুর্থ ও শেষ দিন উষা অর্ঘ্যের মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।

 

এই উৎসবে ৩৬ ঘন্টা উপবাস রেখে সূর্য দেবতা ও ছটি মাইয়াকে পূজা করা হয় এবং তাদের অর্ঘ্য দেওয়া হয়। ইচ্ছা পূরণের জন্যও এই উপবাস করা হয়। নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও এই উপবাস পালন করেন। কার্তিক মাসের চতুর্থী তিথিতে স্নান, দ্বিতীয় দিনে খরনা এবং তৃতীয় দিনে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। চতুর্থ দিনে উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করে উপবাস ভাঙে।

এ বছর ছট পুজো হচ্ছে ৩০ অক্টোবর রবিবার। বিশ্বাস অনুযায়ী, ছট পূজা এবং উপবাস পরিবারের সুখ, স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধির জন্য রাখা হয়। চার দিনের এই উপবাসের কিছু পদ্ধতি অত্যন্ত কঠিন, যার মধ্যে সবচেয়ে বিশিষ্ট হল ৩৬ ঘন্টার নির্জলা উপবাস।

 

চারদিনের এই ব্রতের প্রথম দিনে যিনি ব্রত পালন করেন, তিনি বাড়িঘর পরিষ্কার করে স্নান সেরে শুদ্ধাচারে নিরামিষ ভোজন করেন। পরদিন থেকে উপবাস শুরু হয়। দিনভর নির্জলা থেকে উপবাস পালনের পর সন্ধ্যায় পুজোর শেষে ক্ষীরের ভোগ গ্রহণ করতে হয়।

এই জন্য এই রীতির নাম খরনা। তৃতীয় দিনে নিকটবর্তী নদী বা জলাশয়ের ঘাটে গিয়ে অন্যান্য ব্রতীদের সঙ্গে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য অর্থাৎ দুধ অর্পণ করা হয়। ব্রতের শেষ দিনে গঙ্গা ঘাটে গিয়ে উদীয়মান সূর্যকে পবিত্র চিত্তে অর্ঘ্যপ্রদানের পর উপবাসভঙ্গ করে মিষ্টান্ন, ক্ষীর, ঠেকুয়া, নাড়ু এবং আখ, কলা, মিষ্টি লেবু প্রভৃতি ফল খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করতে হয় ও পরিচিত সকলকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.