বন্ধ ঘরের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হলো মা এবং তার দুই শিশু সন্তানের নিথর দেহ।
ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার ৪ নং গরানকাটি গ্রামের নিমতলাতে।
জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় দর্জি আমিরুল সর্দার কাজের তাগিদে থাকেন হাওড়াতে। বাড়িতে থাকতেন আমিরুলের স্ত্রী রিজিয়া সর্দার, বয়স ২৬ এবং তাদের দুই শিশু পুত্র ৫ বছরের আরিয়ান সর্দার ও ৩ বছরের রাইহান সর্দার। ঐ দম্পতির ৯ বছরের বড় মেয়ে তার ঠাকুরমার সাথে থাকে পাশের পিসির বাড়িতে। আমিরুলের বাবা সাহেব আলি সর্দার কাজের তাগিদে থাকেন আন্দামানে।
শনিবার সকালে রিজিয়ার শ্বাশুড়ি মা বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ রয়েছে। রিজিয়ার শ্বাশুড়ি মা অনেক ডাকাডাকির পরেও কারো কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ জাগে তার মনে। তিনি বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশিদের জানান। প্রতিবেশিরা ঘটনাস্থলে এসে ঘরের দরজা ভাঙেন। দরজা ভাঙতেই দেখা যায় ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে রিজিয়া ও তার দুই শিশু পুত্রের নিথর দেহ।
ঘরের মধ্য থেকে কটূ গন্ধ বের হতে থাকায় সবার ধারণা হয় যে, রিজিয়া কীটনাশক পান করে দুই শিশু পুত্র সহ নিজেও আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে কুলতলি থানার আইসি অর্ধেন্দুশেখর দে সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছোয়। পুলিশ ঘরের মধ্য থেকে ঐ তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান।
তবে ঠিক কি কারণে রিজিয়া তার দুই শিশু পুত্রকে মেরে নিজেও আত্মঘাতী হলেন, সেই বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান মৃতার পরিবার, পাড়া প্রতিবেশী সহ পুলিশও। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন কুলতলি থানার পুলিশ।
অপরদিকে, শনিবার সাত সকালে এমন এক মর্মান্তিক ঘটনায় শোকস্তব্ধ রিজিয়ার পরিবার সহ সমগ্র এলাকা। ঘটনায় এখনো যথেষ্ট চাঞ্চল্য রেয়েছে ঐ এলাকায়।
শ্রাবনী ভট্টাচার্য মাইতি , নিউজ রিডার ও রিপোর্টার