ফের দুই শিক্ষকের মারামারি!প্রধান শিক্ষক কে বাঁচাতে গিয়ে নাক ভাঙলো কেরানীর
ভুবন মোহনকর: ২৩/০৪/২০২২: ফের দুই শিক্ষকের মারামারি। লজ্জায় মাথা কাটা গেল শিক্ষা দপ্তরের। স্কুলের মধ্যে মারামারি৷ তাতেই ঘুসিতে নাক ফেটে রক্তারক্তি। ঘটনাস্থল বীরভূমের সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের অজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয় ৷ প্রধান শিক্ষককে বাঁচাতে গিয়ে ভূগোল শিক্ষকের ঘুসিতে গুরুতর আহত হলেন স্কুলের কেরানি ৷ ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ভূগোল শিক্ষক দেবাশিস খাগ । আহত প্রধান শিক্ষককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও গুরুতর আহত অবস্থা কেরানি অভিজিৎ ভান্ডারীকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, সিউড়ির অজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেবাশিস খাগ সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে স্কুলে আসায় প্রধান শিক্ষক আশিস গড়াই তাঁকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে নিষেধ করেন। অভিযোগ, এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হন দেবাশিসবাবু। কলার চেপে গলা টিপে ধরেন তিনি। এমন অবস্থায় স্কুলের শিক্ষাকর্মী অভিজিৎ ভাণ্ডারি প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করতে গেলে তাঁকে মাটিতে ফেলে প্রচন্ড মারধর করেন দেবাশীষবাবু।
প্রধান শিক্ষকের দাবি, স্কুলে দেরি করে আসায় তিনি শুধু ওই শিক্ষককে রেজিস্টার খাতায় সই করতে বারণ করেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে জামার কলার ধরে গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। আমার সহকর্মী আমাকে বাঁচাতে এলে তাঁকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় সিউড়ি সদর হাসপাতালে।
বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই শিক্ষাকর্মী।’’ অভিযুক্ত শিক্ষকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, কেনো বার বার এমন আচরণ করছেন শিক্ষকরা? তাঁরা যদি এমন করেন তাহলে ছাত্র সমাজ কি শিখবে?