বিকল্প চাষের দিশা দেখাচ্ছে পুরুলিয়া
জনসংখ্যা বাড়ছে কিন্তু কৃষিযোগ্য জমি বাড়ছে না। সেই অবস্থাতেই ভারতের প্রাধান্য পায় ‘বিকল্প চাষ।’ অর্থাৎ জমিকে ফাঁকা ফেলে না রেখে একই জমিতে একাধিক চাষ করা। এবার সেই উদ্যোগ নিলো পুরুলিয়া কৃষি দপ্তর। এবার আমন ধানের জমিতেই হবে ডালশস্য চাষ। এ-বছর পুরুলিয়া জেলাতে নির্দিষ্ট সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। যার ফলে আমন ধানের চাষ অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরুলিয়ায়। তাই বিকল্প চাষ হিসাবে রুখাশুখা এই জেলায় ডালশস্য চাষ বাড়ানোর জন্য উৎসাহ দিচ্ছে কৃষি দফতর।
আর সেই কাজেই কৃষক পাঠশালা করা হয় পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া ব্লকে। অনেক চাষী খুবই উৎসাহের সঙ্গে সেই পাঠ শালায় উপস্থিত হয়ে বিকল্প চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন।
কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, ডালশস্য খুবই লাভ জনকে কৃষি। তবে এর জন্য প্রশিক্ষণ দরকার। তাই তারা নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে যাবে। এখান থেকেই কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহায়তা সহ নানা পরামর্শ দেবে কৃষি দফতর। কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, রুক্ষ জেলা পুরুলিয়া। এখানে শস্য উৎপাদন একটা চ্যালেঞ্জ।
এবছর জেলায় বৃষ্টির অভাবে পর্যাপ্ত আমন ধান না হওয়ায় কৃষকদের ডালশস্য ও তৈলবিজ চাষের উপর জোর দিতে বলছে কৃষি দফতর। এই জেলায় ডাল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়ে নিতুড়িয়ার সহ কৃষি অধিকর্তা পরিমল বর্মন বলেন , কৃষকেরা যাতে ডাল শস্য চাষের দিকে ঝোঁকে সেই কারণে আমরা এই পাঠশালার আয়োজন করেছি। এই ব্লক এলাকায় ৪৫০ হেক্টর ডাল শস্যের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি আমরা। দেরিতে বৃষ্টি হওয়ায় আমন ধান সেভাবে হয়নি।
কিন্তু আমন ধানের ওই জমি ভিজে রয়েছে। এই ডাল শষ্য চাষ যাতে ব্যাপকভাবে করা যায় সে বিষয়ে প্রচার চালাচ্ছে পুরুলিয়া কৃষি দফতর। এমনকি জমিতে ফোয়ারা সেচও চলানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে পুরুলিয়া কৃষিতে নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে বলেই অনেকের বিশ্বাস।