ইলিশ ভেটকি পাবদায় আগুন, ভাইয়েরপাতে মাছ যোগাতে হিমশিম খাবেন দিদিরা
নিজস্ব সংবাদদাতা: রাত পোহালেই ভাই ফোঁটা। আর ভাইফোঁটা মানেই দিদিরা ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় ফোঁটা দেবেন আর সাথে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া।কিন্তু দুঃখের বিষয় ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে মাছের বাজারে চড়া দাম। চিংড়ি থেকে ইলিশ, পাবদা, পমফ্রেট সবেতেই দামে আগুন। কলকাতার সমস্ত বাজারে কম-বেশি এই ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এমন বিশেষ দিন কি আর রোজ রোজ আসে! তাই অনেকে পকেটের কথা ভুলে বাজার করছেন। আবার অনেকেই বাজারে গিয়ে চড়া দাম দেখে মেনু পরিবর্তনের পরিকল্পনা করে ফেলেছেন।
রাজ্য জুড়ে চলছে ভাই ফোটার প্রস্তুতি। কেমন প্রভাব পড়েছে বাজারে? উত্তর কলকাতার হাতিবাগান থেকে নিউ মার্কেট বা দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট—সর্বত্র ঢিমেতালে চলছে কেনাকাটা। ভিড় দেখা গেল না। তবে শপিংমলগুলিতে একটু ভিড় দেখা গিয়েছে। তাহলে কি বাঙালি মুখ ফেরাচ্ছে পুরনো বাজারগুলি থেকে? এই বিষয়ে কিছু দোকানদাররা বলছেন, ‘শপিং মলে ভিড় মানেই যে সবাই কেনাকাটা করছেন তা নয়। ওখানে কেউ সিনেমা দেখতে যান আবার কেউ খেতেও যান। সেখানে যাঁরা কেনাকাটা করেন, তাঁদের বেশিরভাগই আমাদের খরিদ্দার নন। আমাদের কাছে যাঁরা কিনতে আসেন, তাঁদের বড় অংশের চলে মাস মাইনে থেকে। ভাইফোঁটা পড়েছে মাসের শেষে। তাই কাস্টমারদের আনাগোনা কম।’
বাজারে দেড় কিলো ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে। এক কিলো ওজনের ইলিশ আবার ১০০০-১২০০ টাকা কেজি। তার থেকে ছোট ওজনের মাছও রয়েছে। দাম কিছুটা কম। খাসির মাংস কেজি ৭৮০ থেকে থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা। তবে দাম কমেছে মুরগির মাংসের। ২০০ টাকা হয়েছে মুরগির মাংসের দাম কমে হয়েছে ১৯০ টাকা। ভেটকি মাছ ৬০০ টাকা। তপসে ৮০০ টাকা। পাবদা ৬০০ টাকা কেজি।পারশে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজিতে। গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকা। পমফ্রেট ৭০০ টাকা কিলো। চিতলের কিলো ৬০০ টাকা।