সিঁদুর খেলা,পারিবারিক মিলনমেলায় দাসপুরে সামন্ত পারিবারের প্রাচীন কালী পুজো
—————————————————————
কলমে -শ্যামাপদ প্রামাণিক
দাসপুর ২নম্বর ব্লকে মাগুড়িয়া -শ্যামগঞ্জে বিপুল উৎসাহ ,উদ্দীপনা ও মহাআড়ম্বরের মধ্যে সামন্ত পরিবারের পারিবারিক প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ২৪বছরের তারামাতা কালীপুজো হয়ে আসছে।পুজোর শুরু থেকে বিসর্জন কঠোর নিষ্ঠা নিয়ম রীতি ও প্রাচীন ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখে হয়। পুজোর শুরুতেই পরিবারের সদস্যরা ও কুল পুরোহিত তারামাকে ফুল অন্যান্য ঠাকুর সাজানোর সামগ্রী সহযোগে সাজানো হয়। পরে হরিনাম সংকীর্তনের মধ্য দিয়ে পরিবারের কূল পুরোহিত বৈদিক মন্তোচ্চারনের মধ্য দিয়ে পুজো শুরু করেন। পুজোর পর দিন তারামাতার পুজোর অন্নপ্রসাদ অগণিত গ্রামবাসীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
সামন্ত পরিবারের প্রধান প্রসাদ সামন্ত তাদের পরিবারে তারামাতা কালীপুজো প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের এই পুজো এই বছর ছিল ২৪বছর। আজ থেকে ২৪বছর পূর্বে এই পুজোর আমি সূচনা করি।
আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা দুর্বল ছিল।
তারামায়ের কৃপায় সোনার ব্যবসায় প্রভূত উন্নতি হয়। ব্যবসার অর্জিত অর্থে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসে।’
পুজোতে আমার আত্মীয় স্বজনরা ও আমার পরিবারের সদস্যরা ব্যাবসা সূত্রে কলকাতায় থাকে। তারাও আসে সকলের মিলনে এক টুকরো মিলন মেলায় পরিণত হয়। বিসর্জনের দিন পরিবারের সমস্ত সদস্য সম্মিলিতভাবে মধ্যে পুজোর ঘট, ফুল মাথায় নিয়ে দেবীর চতুর্দিক প্রদদক্ষিণ করে। এবং সিঁদুর খেলায় পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে
সিঁদুর মাখিয়ে অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠে।
শুধুমাত্র সামন্ত পরিবার নয় এই পুজোকে ঘিরে মাগুড়িয়া -শ্যামগঞ্জের পাশাপাশি ৪থেকে ৫টি গ্রামের মানুষের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। তাদের নিজেদের বাড়ির পুজো মনে করে তারা পুজোর আনন্দে সামিল হয়। পুজোর পর তারামায়ের বিসর্জনের দিন সামন্ত পরিবারের সকল সদস্যদের ও গ্রামের মানুষের মনখারাপ করে। এই মনখারাপের মধ্যেই আবার একটি বছর তারামায়ের আগমণের অপেক্ষায় দিন গুনেন।