অবিশ্বাস্য ম্যাচ! শেষ ওভারে ৫ ছক্কায় ম্যাচ জেতালেন রিংকু! জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন কোচ পণ্ডিত স্যার, দেখুন সেই ভিডিও
ভুবন মোহনকর: ০৯/০৪/২০২৩: আজ কি রাত রিংকু সিং কি নাম! হাতের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচ, গুজরাট শিবিরে উল্লাসের ইঙ্গিত। কিন্তু শেষ ওভারের পর শেষ হাসি হাসল কলকাতা। এমন রুদ্ধশাস জয়ের নায়ক রিংকু সিং।
This feeling. THIS FEELING.pic.twitter.com/pGyUNYnSqt
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) April 9, 2023
এখন নাইট শিবিরে একটাই না রিংকু সিং। গুজরাট দলের রশিদ খানের হ্যাট্রিক এর পর কলকাতার হার নিশ্চিত হয়ে পড়ে। কলকাতা নাইট রাইডার্স এর সবার মধ্যে হতাশা দেখা দেয়, আর সেখান থেকেই ম্যাচে মোড় দেখা দেয় রিংকুর ব্যাটে। শেষ ৫ বলে পাঁচটা ৬! গুজরাট টাইটানস এর সবাই আজ হয়তো রাতে ঘুমোতে পারবেন না আজকের সন্ধ্যার কথা ভেবে। শেষ বল বাউন্ডারিতে পৌঁছতেই প্রথমে ছুটে যায় ক্যাপ্টেন রানা, ছুটে যান কলকাতার কোচ পণ্ডিত স্যার। জড়িয়ে ধরেন রিংকু কে দুজনেই কেঁদে চলেছেন। এজন্যই হয়ত বলে কলকাতা স্টার কেনে না তৈরি করে।
গোটা স্টেডিয়াম মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখল রিঙ্কুর তান্ডব। যশের আইপিএল জীবনকেই অনিশ্চয়তার সামনে দাঁড় করিয়ে দিল রিঙ্কুর ব্যাট। প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচ দলকে জিতিয়ে আর বলের দিকে তাকাননি রিঙ্কু। শট মেরেই নিশ্চিত হয়ে যান ছক্কা হচ্ছেই। এর আগে তিন বছরে মাত্র ১০টি ম্যাচ খেলে তিনি করেছিলেন ৭৭ রান। টিম ম্যানজমেন্টের অনকে প্রশ্ন ছিল, এমন এক জন ক্রিকেটারের উপর টাকা ঢালা কি কেকেআরের উচিত হয়েছে? কত দিন এভাবে ফালতু টাকা ঢালবে? সেই প্রশ্নের কড়া জবাব দিয়েছে রবিবার সন্ধায়।
রিঙ্কু বক্তব্য, “আমি শুধু চেষ্টা করেছি। হাঁটুতে একটা চোট ছিল আমার। সেটা বেশ কিছু দিন ভুগিয়েছে। কিন্তু সেই সময়টাতে আমি রান পায়নি কিন্তু আমি অনেক কিছু শিখেছি। কঠিন সময়টা দেখেছি। আইপিএলের আগের সাত মাসে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। সবার ট্রোলের জবাব দিতে পেরেছি। তবে শুধু ব্যাটিং নয় অফ ব্রেক বলও করতে পারে। কিন্তু যে পরিবার থেকে উঠে এসেছে এই বাঁহাতি ব্যাটার, সেখানে ক্রিকেট খেলাটাই একটা যুদ্ধ ছিল।
আইপিএলে দল পাওয়া তো সোনার পাথরবাটি। রিঙ্কুর বাবা খানচাঁদ সিংহ গ্যাসের সিলিন্ডার বিলি করতেন। লখনউয়ে দু’টি ঘরে চার ভাই-বোন এবং মা-বাবাকে নিয়ে রিঙ্কুর সংসার। দু’বেলা ঠিক মতো খাবার জুটত না। রিঙ্কুর দাদা ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখা ভাইকে এক জায়গায় ঝাড়ুদারের কাজে ঢুকিয়ে দেন।
রিঙ্কু যদিও দমে যাননি। অভাবের সংসারে কিছুটা সাহায্য করার জন্য এক সময় তাঁকে কোচিং ক্যাম্প পরিষ্কার রাখার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল। লজ্জায় সেই চাকরি করতে পারেননি রিঙ্কু। স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। তিনি ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যান। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সুযোগ পেয়ে যান উত্তরপ্রদেশের রাজ্য দলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আবির্ভাব ২০১৬ সালে। সত্যি যে কলকাতা নাইট রাইডার্স #KKR স্টার কেনে না স্টার তৈরি করে আবারও প্রমাণিত।