খবরটেকটকদেশবিদেশ

Twitter to Charge $20 : টুইটারে ‘ব্লু টিক’ এর জন্য মাশুল গুনতে হবে মাসে ১৬০০ টাকার বেশি

টুইটারে ‘ব্লু টিক’ এর জন্য মাশুল গুনতে হবে মাসে প্রায় ১৬০০

 

নিজস্ব সংবাদদাতা: ইলন মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণের পর পুরোপুরি ভোল বদলাতে চলেছে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটে ভেরিফিকেশন ও মোডিফিকেশন পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ রকম বদলের পথে হাঁটল কর্তৃপক্ষ। কারও ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক থাকলে সেই অ্যাকাউন্টকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করা হয়। ডাক্তার, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু সাধারণ মানুষ, অনেকের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ব্লুটিক থাকে। তাঁদের ফলোয়ারও বাড়ে। এতদিন পর্যন্ত নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই এই ব্লুটিক দেওয়া হতো। তবে এবার সেই নিয়ম আরও শিথিল হতে পারে বলে খবর।

 

ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল ‘ভেরিফিকেশন’ পদ্ধতিতে বদল আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খোদ টুইটারের মালিক। রবিবার টুইটারে এক ব্যবহারকারীর প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মাস্ক বলেন, ‘‘টুইটারের ব্যবহারকারীর প্রোফাইল যাচাই করা বা ভেরিফিকেশনের সমগ্র পদ্ধতিটাই পুনর্গঠন করা হচ্ছে।’’ তবে এর ফলে কী কী বদল আসতে চলেছে, তা খোলসা করেননি মাস্ক।

 

ট্যুইটার সূত্রে খবর, ট্যুইটার ব্লু পরিষেবা পেতে মাসে ১৯.৯৯ মাসে ভারতীয় মুদ্রায় ১৬০০ টাকার বেশি দিতে হবে ব্যবহারকারীদের। যেখানে ব্যাবহারকীরারা ‘এডিট’ ও ‘আনডু’-এর মতো নতুন ফিচার পাবেন। সম্প্রতি টেক সাইট ‘ভার্জ’ এর রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। শোনা যাচ্ছে. এখন থেকে ‘ভেরিফায়েড ইউজার’দের ‘ট্যুইটার ব্লু’ অপশন ৯০ দিনের মধ্যে সাবক্রাইব করতে হবে। অন্যথায় আর ব্লু টিকের পরিষেবা পাবেন না ব্যবহারকারীরা।

 

টুইটারে যাঁদের সাবস্ক্রিপশন রয়েছে, তাঁরা কিছু বাড়তি সুবিধা ভোগ করে থাকেন। নিজেদের টুইট তাঁরা ইচ্ছামতো মুছতে বা সংশোধন করতে পারেন। টুইটারে নতুন করে ব্লু টিক পেতে চাইলে টাকা দিয়ে আগে সাবস্ক্রিপশন নেওয়ার নিয়ম চালু করতে পারেন মাস্ক। সেই সঙ্গে যাঁদের আগে থেকেই ব্লু টিক রয়েছে, তাঁরা সেটি টিকিয়ে রাখার জন্য ৯০ দিন সময় পাবেন বলে সূত্রের দাবি। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের সাবস্ক্রিপশন নিয়ে ফেলতে হবে। তা না হলে ৯০ দিন পর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকেও ব্লু টিক উঠে যেতে পারে।

 

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ, যাঁদের অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক ইতিমধ্য়েই আছে, তাদের সেই ব্লু টিক টিকিয়ে রাখার জন্য ৯০ দিনের সময় দেওয়া হবে। সেই সময় সীমার মধ্যে যদি টাকা না পেমেন্ট করা হয় তাহলে ব্লুটিক মুছে দেওয়া হতে পারে। তবে সংবাদমাধ্যমে আরও প্রকাশ, আদৌও এই পদক্ষেপ কার্যকর হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ, এতে মাস্কের ব্যবসা ক্ষতির মুখেও পড়তে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.