নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী শ্রদ্ধাঞ্জলি
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু কটকে (বর্তমান ওড়িশা) জানকীনাথ বোস এবং প্রভাবতী দত্তের ঘরে ১৮৯৭ সালের ২৩শে জানুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল জীবনের পড়া শেষ করে নেতাজি ১৯১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে বিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরের বছর, তিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কেমব্রিজের ফিটজউইলিয়াম কলেজে ভর্তি হন। যদিও তিনি চতুর্থ র্যাঙ্কিংয়ের সাথে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং একটি লাভজনক চাকরি অর্জন করেন, যেমন তার পিতার ইচ্ছা ছিল, নেতাজি ব্রিটিশ সরকারের সেবা করার জন্য নিজেকে উন্নীত করতে পারেননি। তিনি ভারতে ফিরে এসে জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। 1938 সালে কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার আগে বোস ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের যুব শাখার সক্রিয় অংশ ছিলেন।
মহাত্মা গান্ধী এবং কংগ্রেস শিবিরের অন্যান্য বিশিষ্ট নেতাদের সঙ্গে বসুর কিছু পার্থক্য ছিল। ব্রিটিশদের দ্বারা গৃহবন্দী হওয়ার পর বসু ১৯৪০ সালে ভারত ত্যাগ করেন।
তার সবচেয়ে বিখ্যাত ভাষণ,
💠 ‘আমাকে রক্ত দাও এবং আমি তোমাকে স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিও’,
💠 ‘জীবন তার অর্ধেক আগ্রহ হারায় যদি কোন সংগ্রাম না থাকে – যদি কোন ঝুঁকি নেওয়া না হয়’।
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে সুভাষচন্দ্র কংগ্রেস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন । ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে তিনি AITUC- এর সভাপতি হন । জামশেদপুরের টিস্কোর লেবার অ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি নির্বাচিত হন । জেলে বন্দী অবস্থায় তিনি কলকাতার মেয়র হন । ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের মার্চে তিনি ভিয়েনা যান। তিনি অস্ট্রিয়া ইন্ডিয়া সোসাইটি স্থাপন করেন । ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ” ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল ” নামে গ্রন্থটি লেখেন । ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতে ফেরেন । ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তাকে শর্তাধীন মুক্তি দেওয়া হয় । ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি হরিপুরা কংগ্রেসের সভাপতি হন । ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেন ও জহরলাল নেহেরু কে প্ল্যানিং কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন । ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ৩ মে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে ” ফরওয়ার্ড ব্লক ” নামে একটি নতুন দল গঠন করেন। নেতাজির লেখা বিখ্যাত একটি গ্রন্থ হল ” তরুনের স্বপ্ন ” । ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে জুন মাসে রাজবিহারী বসু ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগ গঠন করেন জাপানে এবং সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১ লা সেপ্টেম্বর । ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫’ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে নেতাজির আজাদ হিন্দবাহিনীর নেতৃত্ব দেন । ৫ ই জুলাই তিনি ” দিল্লি চলো ডাক ” দেন।
আজাদ হিন্দ সরকারের মন্ত্রিসভা : –
সুভাষচন্দ্র বসু – রাষ্ট্রনায়ক, প্রধানমন্ত্রী, যুদ্ধ ও পরাষ্ট্রমন্ত্রী, সর্বাধিনায়ক
এ. ইস চ্যাটার্জি – অর্থ
এস.এ. আয়ার – প্রচার সচিব
লক্ষ্মী স্বামীনাথন – মহিলা বিভাগ
এ. এস. সহায় – সচিব
রাজবিহারী বসু – প্রধান উপদেষ্টা
এ. এন সরকার – আইনগত উপদেষ্টা
বীর নায়কের ১২৫ তম জন্মদিনে কিউরিওসিটি সংবাদ বার্তার পক্ষ থেকে শতকোটি প্রণাম।