প্রেমের টানে সুদুর মেক্সিকো থেকে প্রেমিকা হাজির হাওড়ায়, আবদ্ধ হলেন বিবাহ বন্ধনে
সব্যসাচী গুছাইত, নিজস্ব প্রতিনিধি-২২/০৬/২০২২:
দূরত্ব, ভাষা কোনও কিছুই যে ভালবাসার পথে বাধা হতে পারে না, তা ফের প্রমান করল প্রেমিক যুগল। শুধুমাত্র প্রেমের টানে সুদূর মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় এলেন বিদেশী তরুণী। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বাংলার প্রেমিকের সঙ্গে।
মেক্সিকো সিটির বাসিন্দা প্রেমিকা লেসলি। এদিকে হাওড়ার বালির বাসিন্দা অরিজিৎ ভট্টাচার্য। পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী। পরিবারের সদস্য বলতে বাবা, মা। বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। করোনায় যখন ঘরবন্দী গোটা বিশ্ব। ঠিক সেই সময় ক্রমশ দূরত্ব কমেছে দুই প্রান্তে এই তরুণ-তরুণীর। ডেটিং অ্যাপে পরিচয়। ক্রমশ বেড়েছে কথাবার্তা। গোটা বিষয়টা এতটা সহজ ছিল না। কারন, লেসলি ইংরেজীতে বিশেষ কথা বলতে পারতেন না। তবে তা বাধা হয়নি এক মুহূর্তের জন্যও। ডেটিং অ্যাপে কথা বলতে বলতেই মন দেওয়া নেওয়া হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ফোনেই চলছে প্রেম। স্বাভাবিকভাবেই দেখা করার ইচ্ছে দু’জনেরই। সুত্র মারফৎ জানা যায় অরিজিৎ এর প্রথমে যাওয়ার কথা ছিল প্রেমিকার দেশে। কিন্তু পাসপোর্ট, ভিসার জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে লেসলি সিদ্ধান্ত নেন তিনিই আসবেন প্রেমিকের শহরে। কিন্তু দেখা তো হয়নি, ফোনের বার্তালাপে সারাজীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া তো মুখের কথা নয়। অরিজিৎ জানিয়েছেন, তাঁরা ঠিক করেছিলেন প্রেমিকা এলে একসঙ্গে কিছুটা সময় কাটাবেন, তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন গোটা জীবনের।
২৯ এপ্রিল দিল্লি পৌঁছান লেসলি। এদিকে হাওড়া থেকে দিল্লি যান অরিজিৎ। সেই প্রথম সাক্ষাত। তারপর বেশ কিছুদিন দুজন একসাথে ঘুরে গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হাওড়ার বাড়িতে আসে প্রেমিক যুগল। বাবা-মা বরাবরই পাশে ছিল অরিজিতের। ফলে চার হাত এক হতে সময় লাগেনি। গত ১৯ তারিখ আইনি বিবাহ সেরেছেন অরিজিৎ-লেসলি। ৫ জুলাই সামাজিক বিয়ে। কনের সাজে প্রেমিকের গলায় মালা দেবেন মেক্সিকোর তরুণী লেসলি। সেই আনন্দে এখন মজে আছে প্রেমিক যুগল ও আত্মীয় পরিজন।
********************************************
After falling in love, his lover came to Howrah from far away Mexico and got married
Sabyasachi Guchait, own representative-22/08/2022:
Distance, language, nothing can be an obstacle in the way of love, it was proved again by the loving couple. The foreign girl came to Howrah from distant Mexico only because of love. She got married to her Bengali lover.
Premika Leslie, a resident of Mexico City. Meanwhile, Arijit Bhattacharya, a resident of Bali, Howrah. Employees of private companies by profession. Family members say father, mother. The sister is married. The whole world is under house arrest in Corona. At that time, the distance between the two ends gradually decreased. Introduction to dating app. Conversation has gradually increased. The whole thing was not so simple. Because Leslie couldn’t speak English very well. However, it did not stop even for a moment. Talking on the dating app has been taken into consideration.
Love has been on the phone for some time. They both deal with their confidence as they choose to embark on their play activities. According to sources, Arijit was supposed to go to his lover’s country first. But it was not possible due to the complexity of passport and visa. In February of this year, Leslie decided that she would come to her lover’s town. But it has not been seen, the decision to spend the rest of his life talking on the phone is not a word of mouth. Arijit said that they had decided to spend some time together when their girlfriend came, then they would decide for the rest of their lives.
Leslie arrives in Delhi on 29 April. Meanwhile, Arijit went to Delhi from Howrah. That first meeting. After a while, the two decided to go together and tie the knot. In the first week of May, the couple came to Howrah’s house. Arijit’s parents were always by his side. As a result, it did not take long for the four hands to become one. Arijit and Leslie got married on the 19th. Social marriage on 5th July. Leslie, a young Mexican woman, will wear a garland around her boyfriend’s neck. Loving couples and relatives are now enjoying that joy.