ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল অনুমোদিত ও ওয়েস্ট বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিল স্বীকৃত শান্তিনিকেতন সেবানিকেতন নার্সিং ইনস্টিটিউট ও স্বাধীন নার্সিং ইনস্টিটিউট বীরভূমের বোলপুরের মুলুকে গড়ে উঠেছে গত ৩ বছর আগে। এই নার্সিং ইনস্টিটিউটগুলিতে অনেক দূর দূর থেকে ছাত্রীরা পড়াশোনা করতে আসেন। হাজার একটা নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও কেন এই ইনস্টিটিউটই তাদের পছন্দ? এত দূর দূরান্ত থেকে ছাত্রীদের এখানে আসার কারণ কি? কি কি সুবিধা বা ফেসিলিটি পান তারা? এখানে পড়াশোনা, প্র্যাক্টিক্যাল কেমন হয়? ইনস্টিটিউটের এক সাংবাদিক সম্মেলনে এইসমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেন ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা। সংস্থার সভাপতি মলয় পিট আমাদের জানান, “আমরা কাজ করি সোশ্যাল ডেভলমেন্টের জন্যে। বেশ কিছু ইনস্টিটিউট পরিচালনা করি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এইসমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে যেসমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা পাশ করে বেরোবে, তাদের একত্রিত করে এন্টারপেনার্শিপের জায়গায় অর্থাৎ পরিষেবা দেওয়ার জায়গায় নিয়ে আসা। ইতিমধ্যেই আমরা স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছি। এছাড়াও এগ্রিকালচার ক্ষেত্রেও ডেভলপমেন্ট করে আমরা পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছি।”
শান্তিনিকেতন সেবানিকেতন নার্সিং ইনস্টিটিউটের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুচিত্রা দেবী জানান, “এখানে দুটি কোর্স চলে জিএনএম এবং বিএসসি। ৬০ করে আসন রয়েছে এখানে। আমাদের এখানে একটি উচ্চমানের স্মার্ট ক্লাসরুম আছে, যেখানে প্রজেক্টর, মাইক, অডিটোরিয়ামের মতো তৈরি করে ক্লাস নেওয়া হয়। ছাত্রীদের নিজের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ মেলে। এর সঙ্গে ছাত্রীদের জেলা হসপিটালে এবং নার্সিং হোমে ক্লিনিক্যাল পোস্টিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। সেক্ষেত্রে তাদের স্কিল আরও বাড়ে। তাছাড়াও আমাদের এখানে উন্নত মানের প্রযুক্তি মেটাভার্সের মাধ্যমে ক্লাস করানো হয়।”
স্বাধীন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষিকা মনীষা পাল জানান, “INC ও WBNC নির্দেশিকা মেনে আমাদের কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ফিল্টার থেকে পারেন্টিয়াল হসপিটাল এবং অসিয়ান গভর্নমেন্ট হসপিটালে পাঠানো হয়। আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসটা খুব ইকো ফ্রেন্ডলী। যেখানে ওয়েল ভেন্টিলেটড হোস্টেল ফেসিলিটি আছে। কলেজ টাইম শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা ৭-৯ টা পর্যন্ত লাইব্রেরীতে এসে পড়তে পারে। কোভিডের সময় যখন ওরা ফিল্ডে যায়নি তখন মেটাভার্সের মাধ্যমে প্র্যাক্টিক্যালগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারে। থিওরি বোঝার পর কোনো কিছু সম্বন্ধে বুঝতে অসুবিধা হলে তা মেটাভার্সের মাধ্যমে বুঝতে পারে। আর তাছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষিকারা তো সবসময় রয়েইছেন। যখনই কোনো অসুবিধা হয় তাঁরা তখন সাহায্য করেন।”
স্বাধীন নার্সিং ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের জিএনএমের ছাত্রী আবীরা দাস জানান, “আমাদের কলেজে প্রতিটি বিষয়ের জন্য প্রতিটি টিচার রয়েছেন। তাঁরা খুব হেল্পফুল। এখানে আলাদা আলাদা ল্যাব রয়েছে। যেখানে আমাদের খুব ভালোভাবে শেখানো হয়।” স্বাধীন নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের বিএসসির ছাত্রী দিশা ঘোষ জানান, “আমাদের এখানে কেয়ার প্ল্যান ব্যাপারে, হেলথ টক ব্যাপারে শিক্ষা দেওয়া হয়। ডক্টররা আমাদের ক্লাস করান। নিজেদের নার্সিংহোমে আমরা প্র্যাকটিস করতে পারি। বোলপুরেই কমিউনিটি ডিউটি দেওয়া হয়। টিচাররা আমাদের খুব হেল্প করেন।”