সিভিকদের আচরণে ব্যতিব্যস্ত রাজ্য! নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ মুখ্য-সচিবের
ভুবন মোহনকর: সিভিক ভলান্টিয়ার (নাগরিক সেচ্ছাসেবক), যাদের মূল কাজ পুলিশের কাজে সহায়তা করা। কিন্তু প্রথম থেকেই তাঁদের আচরণ পুলিশ অফিসার দের মত। কোথায় মাস্তানি তো কোথায় দাদাগিরি। বার বার সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাদাগিরিতে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। মঙ্গলবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাদাগিরির উপরে লাগাম টানার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
কয়েক বছর আগে মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদাগিরিতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল এক নিরীহ নাগরিককে। সেই ঘটনা নিয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল মধ্যমগ্রাম। কখনো আনিস হত্যাকাণ্ড, কখনো রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তোলাবাজি, তো কখনো কারোর কান কামড়ে কেটে দেওয়া।
বার বার এমন সব ঘটনা ঘটায় অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। তাই নবান্নে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র দফতরের শীর্ষ আধিকারিক, রাজ্য পুলিশের ডিজি, গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিক, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা।
সূত্রের খবর, বৈঠকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দৌরাত্ম্য নিয়ে আলোচনা হয়। সিভিক ভলান্টিয়ারদের মূলকাজ যে পুলিশকে সহযোগিতা করা তা উল্লেখ করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোথায় কোথায় এবং কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে তা পরিষ্কারভাবে থানাগুলিকে জানিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশ সুপারদের। সেই সঙ্গে তাদের সঠিক প্রশিক্ষণও দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা একটি বৈঠক করে ঠিক করবেন এঁদের কি কি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন।