প্রথম ম্যাচেই মেলবোর্নে পাক বধ ভারতের, দীপাবলির একদিন আগেই দেশজুড়ে উৎসব শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা: টি-২০ বিশ্বকাপে সম্মুখসমরে দাড়িয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচেই রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতের। এভাবেও ম্যাচে ফিরে আসা যায়! ভারতকে না দেখলে সত্যিই বিশ্বাস করা কঠিন। বিরাট হয় ভারতের। ৩১ রানে ৪ উইকেট। শুরুতে চাপে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করল ভারত। ব্যাট হাতে দুরন্ত পারফরমেন্স বিরাট কোহলির। প্রথম ম্যাচে জিতেই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলেন রোহিতরা।
দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া। জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দিলেন বিরাট কোহলি। গত বছর টি২০ বিশ্বকাপে হারের মধুর প্রতিশোধ কিং কোহলির হাত ধরে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে জয়।
বিরাট কোহলির অনবদ্য ব্যাটিং। ৫৩ বলে অপরাজিত ৮২। সঙ্গী হার্দিক পাণ্ড্য। দু’জনে মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাট করেন। পঞ্চম উইকেটে ১১৩ রান যোগ করেন দু’জনে। না হলে প্রথম চার ওভারে মাত্র ১০ রানে দু’উইকেট হারিয়ে শুরু থেকে চাপে পড়ে যায় ভারত। লোকেশ রাহুল প্রথম আউট হন। তাঁকে ফেরান নাসিম শাহ। এর পর হ্যারিস রউফ তুলে নেন রোহিত শর্মার উইকেট। দু’জনেই চার রান করেন। ভারত সম্ভবত সব থেকে বড় ধাক্কা খায় সূর্যকুমার যাদবের উইকেট হারিয়ে। দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন সূর্য। কিন্তু তিনি যখন ৯ বলে ১৫ রান করে ব্যাট করছেন তখনই রউফের একটি বল থেকে ব্যাট সরাতে পারেননি। এই উইকেট হারিয়ে আরও ব্যাকফুটে চলে যায় ভারত। সেখান থেকে দলকে জেতান কোহলি, হার্দিক।
চাপ কাটিয়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন কোহলি। ৪৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ১৮ তম ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে ১৭ রান নিয়ে ম্যাচে ফিরে আসে ভারত। ১৯ তম ওভারে হ্যারিস রউফের শেষ ২ বলে দুটি ৬ মেরে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন কোহলি। নওয়াজের বলে হার্দিক (৩৭ বলে ৪০) আউট হন। দুজনের জুটিতে ওঠে ৭৮ বলে ১১৩ রান। হার্দিক আউট হতেই তৈরি হয় রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত ভারতের (১৬০/৬)।
একটা সময় ভারতের ম্যাচ জেতা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছিল অনেকের। তবে সেটাই সম্ভব করে দিলেন কোহলি। একের পর এখ বড় শটে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে গেলেন তিনি। বিরাট কোহলি যখন মেলবোর্নে পুরস্কার মঞ্চে , তখন গোটা স্টেডিয়াম চিৎকারে গমগম করছিল। কোহলি বলে গেলেন, পান্ডিয়া বারবার বলছিল বিশ্বাস রাখো। ও নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে বলছিল। ওর ওই দুটো শব্দ তাতিয়ে দিয়েছিল আমাকে। বিশ্বাস রেখেছিলাম যে ম্যাচটা বের করে আনব।