সানডে ট্যুর: মহানগরী কলকাতা! (পর্ব-১)
ভুবন মোহনকর:০৮/০৫/২০২২: কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো যাবে কি না যাবে আমার সাথে! প্রাণের শহর ভালোবাসার শহর কলকাতা। যত ভাবেই বলা যাক না কেন তিলোত্তমার রূপের বর্ণনা অসম্ভব। সপ্তাহান্তের ছুটি হোক বা পার্বণের ছুটি, আপনি ঘুরে দেখতে পারেন এই তিলোত্তমার ঐতিহাসিক ও বিখ্যাত জায়গা গুলি। যেগুলির টানে আজও এখানে আসেন বহু দেশী বিদেশী ভ্রমনানুরাগী। কোথায় কোথায় যেতে পারেন?
১) হাওড়া ব্রিজ
ভারতীয় বস্তুকারের নকশাকৃত ব্রিটিশ কোম্পানির ঐতিহাসিক স্থাপত্য। যা দুর থেকে দেখেই আমি মুগ্ধ হবেন। গঙ্গার ওপর ঝুলন্ত ৭০৫ মিটারের এই ব্রিজ রবীন্দ্র সেতু নামেই পরিচিত। হাওড়া স্টেশন থেকে বেরোনোর মুখেই এই ব্রিজ।
২) জাতীয় গন্থাগার
আলিপুরে অবস্থিত ৩০ একর জমির উপর সবুজ ঘাসে ঘেরা এই জাতীয় গ্রন্থাগার। এটি আয়তনের দিক থেকে ভারতবর্ষের বৃহত্তম গ্রন্থাগার হিসাবে নির্বাচিত। এখানে প্রায় ২.২ মিলিয়নের বেশি বই রয়েছে। সাথে রয়েছে ৩২০০ বেশি পাণ্ডুলিপি এবং ৮৬০০০ মানচিত্র।
৩) ভিক্টোরিয়া
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল মধ্য কলকাতার একটি বড় মার্বেল বিল্ডিং, যেটি ১৯০৬ থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। এটি রাণী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত। সবুজ ঘাসে মোড়া সুদৃশ্য বাগানের সামনে সাদা এই স্থাপত্যের দর্শন আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এখন সংস্কৃতি মন্ত্রকের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি জাদুঘর। তবে এখানে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে নাম মাত্রা টিকিট কাটতেই হবে।
৪) রবীন্দ্র সরোবর
দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে একটু নীরবতা খুঁজে নিতে এই জায়গায় আসতে পারেন। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এই জায়গাটি স্বর্গ। পাখির ডাক, নদীর জলের কলকল শব্দ, নুড়ি পাথরের পথ সব মিলিয়ে এ যেন এক হাতে একা ছবি।
৫) জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি
ঠাকুরবাড়ির ইতিহাস সবার কমবেশি জানা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও বেড়ে ওঠার বিভিন্ন রকমের স্মৃতিচিহ্ন এই বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে। এই ঠাকুরবাড়িতে কবির জন্মদিন খুব জাঁকজমকভাবে পালন করা হয়। এছাড়াও বসন্ত উৎসব, কবির মহাপ্রয়াণ দিবস ইত্যাদিও সাড়ম্বরে পালিত হয়।
কিভাবে যাবেন
হাওড়া স্টেশন বা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে লোকাল বাস বা প্রাইভেট গাড়ি করে এই স্থান গুলি সহজেই ঘুরে আসতে পারেন। ( ****ক্রমশ…* )