ট্যুর ট্রিপ : 🖋️ভুবন মোহনকর ( Sunday Special) : ২০-০২-২০২২
ভিতরকণিকা : বায়োলুমিনিসেন্স – হ্যাঁ, এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই শুনেছেন, সিনেমাতে নিশ্চই দেখেওছেন।
বায়োলুমিনিসেন্স একটি জৈব প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জীবিত প্রাণীরা আলো বিচ্ছুরণ করে। বায়োলুমিনিসেন্ট এরকম এক প্রাণীর উদাহরণ দিতে গেলে মাথায় আসে জোনাকির কথা। কিন্তু সমুদ্রের অতলে রয়েছে একাধিক সামুদ্রিক প্রাণী, যাদের মধ্যে এই ক্ষমতা বর্তমান। তাই সূর্যাস্তের পরে সমুদ্রতট বরাবর অসংখ্য সামুদ্রিক প্রাণীর দ্বারা বিচ্ছুরিত নিয়ন নীল সেই আলোর আবেশ হয়ে ওঠে মায়াবী, যেন অতি-প্রাকৃতিক, মহাজাগতিক।
এক প্রাণীর উদাহরণ দিতে গিয়ে যাদের মধ্যে এই ক্ষনিক সেই আলোর আবেশ
আর এই প্রাকৃতিক বিস্ময়ের কথা আপনি মালদ্বীপ বা লাক্ষাদ্বীপের ব্যাপারে শুনে থাকলেও, কলকাতার কাছেই আছে এমন এক জায়গা যেখানে দেখা যায় এই মায়াবী ঘটনা।
ভিতরকনিকা জাতীয় উদ্যান
হাবালিখাটির কাছে ভিতরকনিকা জাতীয় উদ্যানের বিচটি রাত্রিবেলায় হয়ে ওঠে দেখার মতো। তটের
ফাইটোপ্ল্যাংকটোনের ফলে যেন সমুদ্রের ঢেউগুলি হয়ে ওঠে অন্ধকারেও উজ্জ্বল। দুঃখের বিষয়, এত কাছে থেকেও এ ব্যাপারে আমরা বেশি কিছু জানি না।
বায়োলুমিনিসেন্ট সামুদ্রিক প্রাণীরা ছাড়াও, ভিতরকনিকা জাতীয় উদ্যানের উদ্ভিদ ও প্রাণিসম্পদ ঈর্ষণীয়। রয়েছে ম্যানগ্রোভ, প্রায় ২৩ ফুট লম্বা নোনা জলের কুমীর, গোসাপ, ফিশিং ক্যাট, স্পটেড হরিণ, মাছরাঙা এবং প্রায় ৩০০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখী।
কীভাবে পৌঁছবেন
বিমানপথে : প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ভুবনেশ্বর এয়ারপোর্ট। সেখান থেকে ক্যাব বুক করে ভিতরকনিকা পৌঁছাতে আরও ৩ ঘণ্টা। কলকাতা বিমানবন্দর কিন্তু প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে, কলকাতা থেকে সড়কপথে খড়্গপুর ভদ্রক হয়েও এখানে আসা যায়।
রেলপথে : নিকটবর্তী রেলস্টেশন হল ভদ্রক এবং পারাদ্বীপ। হাওড়া বা ভুবনেশ্বর থেকে প্রচুর ট্রেন পাবেন এখানে আসার। ভদ্রক অথবা পারাদ্বীপ পৌঁছনোর পর ট্যাক্সি বা গাড়ি ভাড়া করে চলে আসুন চাঁদবালি হয়ে।
সড়কপথে : বাস অথবা ক্যাব করতে পারেন ভুবনেশ্বর (১৩০ কিমি), কটক (১২০ কিমি), ভদ্রক (৫০ কিমি) থেকে। কলকাতা (৩৬০ কিমি) বা জামশেদপুর (৩১০ কিমি) থেকে গাড়ি চালিয়েও আসতে পারেন। সঙ্গে থাকার জন্য কাছাকাছি সরকারি রিসর্ট, রীট্রিট ক্যাম্প, হোটেল পেয়ে যাবেন।