দুঃস্থদের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে অভিনব জন্মদিন পালন কিশোরী সায়নীর- পাশে দাসপুর ইউফরিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি!
ভুবন মোহনকর: সবং : কিশোরী সায়নী ছোটবেলা তেই হারিয়েছে মা’কে। তার পর নিজের মাসীর কাছে মাতৃ স্নেহে বেড়ে ওঠা। কিন্তু সমাজের প্রতি কোথায় যেনো একটা দায়বদ্ধতা , ভালোবাসা, সামাজিক কাজ মনের মধ্যে জন্মেছে। তাই সে তার ১৮ বছর বয়সের জন্মদিন পালন করলো সবং ব্লকের বাগাল পাড়ার দুঃস্থ মানুষদের মুখে একবেলা অন্ন তুলে। তার এই ইচ্ছা সম্পূর্ণ করতে পুরোপুরি ভাবে হাত লাগিয়েছে তার পরিবারের সবাই। আর এই ইচ্ছে কে সম্মান জানিয়ে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল দাসপুর ইউফোরিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
সেখানে সকাল থেকে পৌঁছে ছোট বড় সবার হাতেই কেক তুলে দেয়। তারপর দুপুরে সবার মুখে নিজে পরিবেশন করে ভাত, সব্জি, মাংস, চাটনি, পায়েস, পাপর্ড, মিষ্টি। অবশ্য একাজে তাকে তার পরিবারের সবাই ও ডিয়ুস ও সহযোগিতা করে। এই দুঃস্থ শবর এলাকার কচিকাঁচা ও বড়োরা মিলে প্রায় ১২০ জনের মুখে অন্ন তুলে তাদের মনে আনন্দ ও হাসি ফুটিয়ে তোলে।
উক্ত অনুষ্ঠানে ওই এলাকার পঞ্চায়েত উপস্থিত ছিলেন। অষ্টাদশী সায়নী র এই ইচ্ছে ও প্রয়াস কে সবাই কুর্নিশ জানিয়েছে। তার কথায়, ” এই প্রথম এমন ভাবে আমার জন্মদিন পালন হলো,যেখানে এই মানুষদের একদিনের একটু তৃপ্তি তে খাওয়াতে পেরে আমি খুব খুশি, এবং এনাদের সবার আশীর্বাদ, ভালোবাসা ও খুশি আমার সারা উপহার”। একবেলার এই ছোট্ট অনুষ্ঠানে এলাকা বাসীর সঙ্গে উপস্থিত বাকিরাও সায়নী কে অনেক ধব্যাবাদ ও আশীর্বাদ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আজকের এই এই অনুষ্ঠানে এলাকার পঞ্চায়েত জানান যে, সবং এর বাগাল পাড়া সবমিলিয়ে প্রায় ১২০ জনের একটি ছোট গ্রাম। পুরো এলাকা র কেউ শিক্ষার মুখ দেখেনি। দিনমজুরি তাদের একমাত্র জীবিকা। কিন্তু তাদের মূল সমস্যা তারা সরকারের সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তার মূল কারণ, তাদের কাছে কোনো নথি পত্র নেই, তাই তাদের ৯০% মানুষের আধার হয়নি।
তাই যদি কোনো ভাবে তাদের সবার আধার কার্ড করানো যায় তবে তারা বাকি সুযোগ গুলি পেতে পারে। এ বিষয়ে, DEWS এর পক্ষ জানানো হয়, হয়তো তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি অর্গানাইজেশন এর পক্ষ থেকে সকল খরচ বহন করে সবার আধার কার্ড করে এই সমস্যার সুরাহা করা হবে।
চলুন দেখে নিন আমাদের প্রতিবেদন নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে।